পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস‍্যের বাড়িতে বোমাবাজী : তদন্তে পুলিশ

20th November 2020 12:33 pm বর্ধমান
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস‍্যের বাড়িতে বোমাবাজী : তদন্তে পুলিশ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ‍্যে । পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস‍্য তথা প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নুরুল হাসান এর বাড়িতে রাতের অন্ধকারে বোমাবাজীর অভিযোগ । ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল‍্য বর্ধমানের ভোতার পাড় এলাকায় । গতকাল গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা প্রাণে মারার জন‍্য ই বোমা ছোঁড়ে বলে নুরুল হাসানের অভিযোগ । ইতিপূর্বেও তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন তিনি । ঘটনাকে ঘিরে আতঙ্কিত পরিবারের সদস‍্যরা । এলাকা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি । অভিযোগ জানানো হয়েছে বর্ধমান সদর থানায় । খবর পেয়েই তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস‍্যের বাড়িতে হাজির হন বর্ধমান সদর থানার আইসি পিন্টু সাহা সহ অনান‍্য পুলিশ আধিকারিকরা । বাড়ির চত্ত্বর ঘুরে দেখেন তারা । বোমার আঘাতে জানলার কাঁঁচ  সহ একাধিক জায়গায় দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । নুরুল হাসান জানিয়েছেন , তিনি কাল রাতে অন‍্য বাড়িতে ছিলেন । পরিবারের সদস‍্যরাই ফোন করে বোমাবাজীর খবর তাকে জানান । রাত্রিবেলাই তিনি আসেন নিজের বাড়িতে । সঠিক করে কারো নাম জানাতে না পারলেও ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা সেখ জামাল নামে এক ব‍্যক্তির দিকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নুরুল হাসান । তার উপর হামলা হতে পারে এই আশঙ্কায় গতকালকেই বর্ধমান থানায় ডায়রিও করেছেন তিনি বলে জানান । তারপরেই রাত্রিবেলা বোমাবাজী করা হয় বাড়িতে । রাজনৈতিক ভাবে তার সাথে না পেরে নোংরা পথ অবলম্বন করেছে বলে দাবী তৃণমূল নেতার । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । ব্লকের নেতৃত্বের ইন্ধনেই এই কাজ হয়েছে বলে দাবী করেছেন জেলা পরিষদের সদস‍্য নুরুল হাসান । ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলেও আলোড়ন । কয়েক মাস পরেই বিধানসভা নির্বাচন । তার প্রাক্কালে এই ধরনের ঘটনায় বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে পূর্ব বর্ধমানের শাসক শিবির । যদিও যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতা নুরুল হাসান সেই সেখ জামাল জানিয়েছেন , বাক্ স্বাধীনতা সকলের ই আছে । কেউ কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারেন । কিন্তু এই ঘটনার সাথে কোনোভাবেই আমার যোগাযোগ নেই । আমি যদি হুমকি দিয়ে থাকি তার তো ফোন রেকডিং থাকবে । তা জানাক প্রশাসনকে । তবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা অত‍্যন্ত নিন্দনীয় বলে জানিয়েছেন সেখ জামাল ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।